১৫তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান | 15th BCS Question Solution | Biddabari
১৫তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান | 15th BCS Question Solution | Biddabari
সুপ্রিয় চাকরি প্রত্যাশী, আপনারা অবগত আছেন যে, বর্তমানে পিএসসির নির্ধারিত টাইমলাইন অনুসারে নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেসকল চাকরিপ্রার্থী এবারই প্রথম বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের পরামর্শ হচ্ছে খুবই সতর্কতার সাথে এই পরীক্ষার প্রতিটি বিষয় সামলাতে হবে। পরীক্ষার প্রবেশপত্র, পরীক্ষা হল এর লোকেশন, সময় মত পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করা, পরীক্ষার ওএমআর শিট যথাযথভাবে (রোল নম্বর ও অন্যান্য) পূরণ, পরীক্ষার হলে সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট করে প্রতিটি বিষয় উত্তর করা, নেগেটিভ মার্কিং এড়াতে অনুমান নির্ভর প্রশ্ন উত্তর না করা সহ প্রতিটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশের সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং সরকারি চাকরির পরীক্ষা হচ্ছে বিসিএস। বিসিএস পরীক্ষায় শুধুমাত্র তারাই সফল হতে পারে যারা এই পরীক্ষার জন্য একটি পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে। প্রতিবছর প্রায় লক্ষাধিক প্রার্থী বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষায় ফেল করেন। এর প্রধান কারণ তারা সঠিক লক্ষ্য নিয়ে পড়াশোনা করেন না এবং ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন না। আবার এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা অনেক পড়েও বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষায় ভালো করতে পারেন না। বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষায় ফেল করার বেশ কিছু কারণ হলো-
· সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করতে না পারা।
· যথাযথ প্রস্তুতি না নিয়ে পরীক্ষার হলে যাওয়া।
· বিসিএস এর প্রশ্নপত্র ও মানবণ্টন সম্পর্কে ধারণা না থাকা।
· সিলেবাসের কোন অংশ বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কোনটি কম গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে না পারা।
· বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির জন্য অগোছালো পড়াশোনা করা।
· কোন টপিকগুলো গুরুত্ব বা কোনগুলো বাদ দিতে হবে সেটি না বুঝেই একসাথে সব পড়তে চাওয়া।
· একদিন পড়ার পরে আর দুই-তিনদিন পড়াশোনা না করা।
· ‘আমাকে দিয়ে বিসিএস হবে না বা বিসিএস আমার জন্য নয়’ এ ধরণের ধারণা পোষণ করা।
· পরীক্ষার ঠিক আগে আগে পড়াশুনা শুরু করা কিন্তু তখন আর যথেষ্ট সময় থাকে না।
· যারা অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন তারাও অনেক সময় নার্ভাসনেস থেকে পরীক্ষায় খারাপ করেন।
· অনেকে ভালো প্রস্তুতি নিলেও পরীক্ষায় কি পরিমাণ দাগাবেন তার কোন পরিকল্পনা রাখেন না যার কারণে পরীক্ষার হলে ভুল করে বসেন।
· অতিরিক্ত দাগিয়ে নেগেটিভ মার্কিং এর ফাঁদে পড়েন অনেকেই।
· পরীক্ষার হলে ২ ঘণ্টা সময়কে অনেকেই সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন না। প্রথমেই অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেন যার কারণে পরে আর সময় পান না।
আমরা জানি বিসিএস পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির প্রয়োজন। একটি সঠিক পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নিয়ে বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে কমপক্ষে ১ বছর সময় হাতে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করা জরুরি। অগোছালো প্রস্তুতি, সঠিক রুটিন না থাকা, লক্ষ্য নির্ধারণে ব্যর্থ হওয়া, কি পড়তে হবে বা কীভাবে শুরু করতে হবে বুঝতে না পারা, পড়াশোনায় নিয়মিত না হওয়া, এক দুইদিন পড়াশোনা করে আবার গ্যাপ দেওয়া ইত্যাদি বিসিএস পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ।
যদি বিসিএসে সফল হতে চান তাহলে অবশ্যই এই লক্ষ্য থাকতে হবে যে, ‘আমি বিসিএস ক্যাডার হবোই, বাকি যা কিছুই আসুক সব বাদ।’ যারা বর্তমানে অনার্সে পড়ছেন বা অনার্সের তৃতীয়-চতুর্থ বর্ষে আছেন তাদের জন্য বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করার এখনই উপযুক্ত সময়। অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত যদি একটি কার্যকর রুটিন করে সঠিক গাইডলাইন অনুসারে পড়াশোনা করা যায় তাহলে অনার্স শেষে প্রথম বারেই প্রথম প্রচেষ্টাতেই আপনি বিসিএস ক্যাডার হতে পারেন। এই পড়াশোনা আপনি নিজে নিজেও করতে পারেন অথবা যদি একা বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে যেকোনো একটি মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের(বিসিএস কেন্দ্রিক) সাথে যুক্ত থেকে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নির্দেশনা মেনে আরও সহজে প্রস্তুতি নিতে পারেন। তবে অবশ্যই আগে পড়াশোনার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেই তারপর শুরু করতে হবে।
বিসিএস প্রিলিতে পাস করতে হলে এবং ভালো নম্বর অর্জনের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপগুলোতে (লিখিত ও মৌখিক) উত্তীর্ণ হতে হলে প্রথমেই একজন প্রার্থীকে বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস, বিষয়ভিত্তিক মানবণ্টন, বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে। অনেকেই আছেন যারা সঠিক ভাবে বুঝতে পারেন না যে কি পড়বেন, কীভাবে পড়বেন, কীভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিক আসলে কোনগুলো। আর এ কারণেই বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো সমাধান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্ন প্যাটার্ন, কোন বিষয়ের কোন টপিকগুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, কোন টপিকগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ, কোনগুলো অপ্রয়োজনীয় বা কম গুরুত্বপূর্ণ এই সবকিছু বিগত বিসিএসের প্রশ্ন বিশ্লেষণের মাধ্যমেই জানা সম্ভব। কোন টপিকগুলোতে প্রার্থীর দুর্বলতা আছে, কোন কোন টপিকগুলোতে অধিক মনোযোগ দিতে হবে সেই বিষয়টিও প্রার্থী বিগত প্রশ্ন সলভ করার মাধ্যমে বুঝতে পারেন। একই সাথে অসংখ্য প্রশ্ন সলভ করার মাধ্যমে বিসিএসের একটি ভালো প্রস্তুতি বিগত প্রশ্ন থেকেই হয়ে যায়। পাশাপাশি বিগত সালের প্রশ্নপত্র থেকে অনেক প্রশ্ন পরীক্ষায় সরাসরি কমন পাওয়া যায় যা একজন চাকরি প্রার্থীকে পরীক্ষায় সহজেই ভালো নম্বর তুলতে সহায়তা করে। বিসিএসের মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষায় সফল হতে হলে প্রথম থেকেই বিসিএস সম্পর্কে খুঁটিনাটি সবকিছু জানতে হবে যার মধ্যে বিগত বিসিএসের প্রশ্ন সমাধান করা একটি অন্যতম কাজ। এই পর্যায়ে আপনাদের সহায়তার জন্য বিদ্যাবাড়ি সবসময় আপনাদের পাশে আছে।
আরও দেখুন: ১০ম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান - 10th BCS Question Solution - Biddabari
আরও দেখুন: ১১তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান - 11th BCS Question Solution – Biddabari
আরও দেখুন: ১২তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান | 12th BCS Question Solution | Biddabari
আরও দেখুন: ১৩তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান | 13th BCS Question Solution | Biddabari
আরও দেখুন: ১৪তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান | 14th BCS Question Solution | Biddabari
আরও দেখুন: 50th BCS Target Live Batch-2
আরও দেখুন: 51th BCS Gold Live Batch-3
প্রিয় চাকরি প্রত্যাশী, আপনাদের বিসিএস প্রস্তুতির অন্যতম সহায়ক হতে বিদ্যাবাড়ির পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিসিএসের বিগত সালের প্রশ্নগুলো নির্ভুল উত্তরসহ প্রকাশ করা হবে।
আজ আমরা ১৫তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান PDF ফরমেটে প্রকাশ করছি।
১৫তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান | 15th BCS Question Solution | Biddabari PDF Download
More Question Bank
Primary
প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নসমাধান-২০০৯ (জবা) | primary head teacher question solution 2009
প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নসমাধান-২০০৯ (জবা) | primary head teacher question solution 2009 সুপ্রিয় চাকরি প্রত্যাশী, আপনারা ইতিমধ্যে অবগত আছেন যে, প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ১১২২টি স্থায়ী পদে সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় ১৩ বছর পরে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক এই নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ধারণা করা যাচ্ছে, বিপুল সংখ্যক চাকরি প্রার্থী নন ক্যাডার পদ মর্যাদার এই প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করবেন এবং তুমুল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেরা মেধাবীরাই এই পদে চাকরি পাবেন। কোটা ব্যবস্থা উঠে যাওয়ায় প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক...
BCS
১৫তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান | 15th BCS Question Solution | Biddabari
১৫তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান | 15th BCS Question Solution | Biddabari সুপ্রিয় চাকরি প্রত্যাশী, আপনারা অবগত আছেন যে, বর্তমানে পিএসসির নির্ধারিত টাইমলাইন অনুসারে নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেসকল চাকরিপ্রার্থী এবারই প্রথম বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের পরামর্শ হচ্ছে খুবই সতর্কতার সাথে এই পরীক্ষার প্রতিটি বিষয় সামলাতে হবে। পরীক্ষার প্রবেশপত্র, পরীক্ষা হল এর লোকেশন, সময় মত পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করা, পরীক্ষার ওএমআর শিট যথাযথভাবে (রোল নম্বর ও অন্যান্য) পূরণ, পরীক্ষার হলে সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট করে প্রতিটি বিষয় উত্তর করা, নেগেটিভ মার্কিং এড়াতে অনুমান নির্ভর প্রশ্ন উত্তর না করা সহ প্রতিটি বিষয়ে গুর...
Primary
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০০৯ | primary head teacher question solution-2009 | Biddabari
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০০৯| primary head teacher question solution-2009| Biddabari সুপ্রিয় চাকরি প্রত্যাশী, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের লক্ষ্যে ১১২২ পদের বিশাল সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ ২০১২ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছিল। বিভিন্ন সময় বিসিএসের নন ক্যাডার থেকে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হলেও এবার সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণ প্রার্থীদের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। মাত্র স্নাতক পাশ করেই আবেদনের সুযোগ থাকছে এবং শুধুমাত্র ৯০ নম্বরের MCQ Type লিখিত পরীক্ষা ও ১০ নম্বরের ভাইভা পরীক্ষা দিয়েই প্রধান শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। MCQ Type লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে আলোচনা করলে আমরা দেখতে পাই,...