অনার্স থেকেই বিসিএস প্রস্তুতি: কৌশলগত ও কার্যকরী পরামর্শ
বিসিএস নিয়ে বর্তমান সময়ে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। কিন্তু বিসিএস প্রস্তুতি কখন থেকে শুরু করা উচিত তা না জানার ফলে অনেকেই শুরুটা ঠিক সময়ে করতে পারেন না।
আবার কেউ কেউ শেষ মুহূর্তে দিশাহারা হয়ে পড়েন। তাই যদি আপনার টার্গেট হয়ে থাকে বিসিএস তাহলে অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বিসিএস সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী সঠিকভাবে বিসিএস প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
চলুন তাহলে, অনার্স পড়াকালীন সময় থেকেই কীভাবে বিসিএসের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন সেটির কার্যকরী ও কৌশলগত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
অনার্সের পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিন
অনেকেই অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর ১ম বর্ষ থেকে বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। এতে একাডেমিক পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে।
যদি শুধু বিসিএসের জন্যই পড়া শুরু করেন তাহলে আপনার স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনার দিকে মনোযোগ কমে যেতে পারে।
মনে রাখবেন, ভালো একাডেমিক ফলাফল আপনাকে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে এবং এটা ভাইভা বোর্ডেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তাই একাডেমিক পড়াশোনা বাদ দিয়ে শুধু বিসিএসের জন্য পড়াশোনা করা মোটেও সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। একাডেমিক পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ দিন এবং পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন।
পরামর্শ:
একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি অনার্স ৩য় বা ৪র্থ বর্ষ থেকে বিসিএস এর প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। এতে একদিকে যেমন আপনি একাডেমিক পড়াশোনাও সঠিকভাবে শেষ করতে পারবেন তেমনি অন্যদিকে বিসিএসের প্রস্তুতিও নিতে পারবেন।
একাডেমিক পড়াগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এতে আপনার বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান বাড়বে; যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিসিএস পরীক্ষায় সহায়ক হিসেবেও কাজ করবে বিশেষত সাবজেক্টিভ রিটেন ও ভাইভায় সহজেই বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর করতে পারবেন।
পড়াশোনায় চাপ যতই বেশি থাকুক বিসিএসের প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় নির্ধারণ করুন। তবে একাডেমিক পড়াশোনায় কোনো ধরনের অবহেলা করা যাবে না।
এভাবে প্রস্তুতি নিলে আপনি উভয় দিকেই ভালো করতে পারবেন। একাডেমিক কার্যক্রম ও বিসিএস প্রস্তুতি দু’টি সমান তালে চালাতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে ইংরেজির দক্ষতা প্রায় সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষত সরকারি-বেসরকারি প্রতিযোগিতাপূর্ণ সকল চাকরি পরীক্ষায়।
অনেকেই ছোটবেলা থেকে ইংরেজি পড়লেও দক্ষ হতে পারেন না। কারণ, এটাকে কঠিন মনে করেন এবং শুধু পরীক্ষায় পাশের জন্য পড়েন।
এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ইংরেজি লেখা, বলা, শোনা এবং পড়ার চর্চা করা উচিত।
এর ফলে আপনি শুধু চাকরি পরীক্ষা নয় অন্যান্য যেকোনো পরীক্ষাতেই ভালো করতে পারবেন এবং নিজের জন্য কর্মক্ষেত্রে অনেক সুযোগ তৈরি করতে পারবেন।
পত্রিকা ও ম্যাগাজিন পড়ুন: প্রতিদিন একটি ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করুন।
অনুবাদ অনুশীলন: ইংরেজি থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করার চেষ্টা করুন। এর মাধ্যমে আপনার গ্রামার এবং বাক্য তৈরীর গঠন আরো শক্তিশালী হবে।
বন্ধুদের সঙ্গে ইংরেজি চর্চা: বন্ধু বা সিনিয়রদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করুন। এতে করে শুধু ভাষার গঠন ও শব্দভাণ্ডারই নয় বরং যোগাযোগের ক্ষেত্রে আপনার আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।
IELTS/TOEFL পরীক্ষার প্রস্তুতি: IELTS বা TOEFL পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া আজকাল অনেকের জন্য উপকারী হতে পারে। এগুলো শুধু দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্যই নয় বরং আপনার ইংরেজি দক্ষতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইংরেজি সিনেমা ও টিভি শো দেখুন: ইংরেজি সিনেমা বা টিভি শো দেখলে ভাষার উচ্চারণ ও সাধারণ কথাবার্তা শিখতে সহজ হয়। এতে করে আপনি ইংরেজি বলার জন্য আরও আত্মবিশ্বাসী হতে পারবেন।
ইংরেজি বই পড়ুন: নিয়মিত বিভিন্ন ইংরেজি গল্প/উপন্যাস পড়া শুরু করুন।
ইংরেজি চর্চা যত বেশি করবেন তত দ্রুত আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি বিসিএস সহ অন্যান্য চাকরি পরীক্ষায় সফল হওয়ার পথে একধাপ এগিয়ে যাবেন।
নিয়মিত পত্রিকা পড়ুন
দৈনিক পত্রিকা পড়ার অভ্যাস শুধু বিসিএস পরীক্ষার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং এটি আপনার সামগ্রিক জ্ঞানও বৃদ্ধি করবে।
পত্রিকা পড়ার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে সচেতন হতে পারবেন যা বিসিএস সহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার লিখিত অংশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিদিন নিয়মিত পত্রিকা পড়লে আপনি দেশ এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও অবগত থাকবেন যা আপনাকে সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এগিয়ে রাখবে।
যা পড়বেন:
প্রতিদিন একটি বাংলা এবং একটি ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন: দুটি ভাষার পত্রিকা পড়লে আপনার ভাষার দক্ষতা যেমন বাড়বে, তেমনি দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞানও বৃদ্ধি পাবে।
সম্পাদকীয়, আন্তর্জাতিক, অর্থনীতি এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগগুলো পড়ুন: পত্রিকায় সাধারণত সম্পাদকীয় বিভাগে বিশ্লেষণধর্মী লেখার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সামাজিক সমস্যা এবং উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক সংবাদ, অর্থনীতি,তথ্য প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রবন্ধ, সংবাদ; যা আপনাকে বর্তমান বিশ্বের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে আপডেট রাখতে সহায়তা করবে।
প্রাসঙ্গিক বিভাগগুলোতে নিয়মিত মনোযোগ দিন: জাতীয়, আন্তর্জাতিক সংবাদ, পরিবেশ, খেলাধুলা, রাজনীতি, সামাজিক বিষয়, বিজ্ঞান এবং ইতিহাস এইসব বিষয়ে আপনাকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। বিসিএস প্রস্তুতিতে এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই বিষয়গুলোর উপর বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকে।
বিভিন্ন পত্রিকা এবং তাদের লেখকদের লেখার ধরণ অনুকরণ: বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদক এবং সম্পাদকরা যে ভাষা এবং বিশ্লেষণাত্মক শৈলী ব্যবহার করেন তা বুঝতে চেষ্টা করুন। এতে আপনার লেখার দক্ষতা এবং বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়বে যা পরীক্ষায় কাজে আসবে।
যোগাযোগ দক্ষতার গুরুত্ব
একটা ভালো ক্যারিয়ার গড়তে হলে যোগাযোগ দক্ষতা অপরিহার্য। শুধু বিসিএস নয়, যেকোনো পেশায় এই দক্ষতা দরকার। তাই আমাদের যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
কীভাবে উন্নতি করবেন?
নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলার চর্চা করুন।
কীভাবে ই-মেইল লিখতে হয় তা শিখুন।
ফরমাল এবং ইনফরমাল আলোচনা করতে অভ্যস্ত হন।
অনেক মানুষের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ান। এতে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতাও বাড়বে।
টিউশনির মাধ্যমে প্রস্তুতি
অনার্স পড়াকালীন টিউশনি করা অনেকের জন্যই একদিকে আয়ের উৎস অন্যদিকে জ্ঞান বৃদ্ধির সুযোগ। এটি কেবল অর্থ উপার্জনের মাধ্যম নয় বরং পড়ানোর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নিজের বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর দারুণ একটি উপায়।
টিউশনি করতে গেলে নিজে বারবার বিষয়গুলো রিভিশন করতে হয় এবং শিক্ষার্থীদের বোঝানোর সময় বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হয়ে যায়।
বিশেষ করে যদি আপনি বিসিএস প্রস্তুতির সঙ্গে মিল রেখে টিউশনি করান তাহলে এটি দ্বিগুণ উপকারী হয়ে ওঠে।
কোন ক্লাসের টিউশনি করবেন?
সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির বাংলা, গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়: এসব বিষয়ের টিউশনি করালে আপনার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের জ্ঞান আরও দৃঢ় হবে। এগুলো বিসিএস প্রিলিমিনারির অনেক বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
উচ্চ মাধ্যমিক বা কলেজ লেভেলের বিষয়: বিশেষ করে যেসব বিষয় আপনার অনার্স বা বিসিএস সিলেবাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেই বিষয়ের টিউশনি করালে লিখিত পরীক্ষায় বাড়তি সুবিধা পাবেন।
কিছু সতর্কতা:
পড়াশোনার ভারসাম্য রক্ষা করুন: অতিরিক্ত টিউশনি কখনোই করবেন না। এতে আপনার নিজের পড়াশোনার সময় কমে যাবে; যা আপনার একাডেমিক ও বিসিএস প্রস্তুতিকে পিছিয়ে দিতে পারে।
সীমিত সংখ্যক টিউশনি: একসঙ্গে একাধিক শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিলে শারীরিক ও মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে। তাই সীমিত সংখ্যক টিউশনিতে যুক্ত থাকুন।
সময়মতো প্রস্তুতি নিন: টিউশনি ও একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে বিসিএস প্রস্তুতির জন্য আলাদা সময় বের করুন, উক্ত সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন মানে শুধু একাডেমিক পড়াশোনা নয়। বিভিন্ন ক্লাব এবং সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত এবং পেশাগতভাবে আপনি দক্ষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠবেন।
কীভাবে অংশ নিবেন?
ডিবেটিং ক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব, আইটি ক্লাব: এসব ক্লাব আপনার যোগাযোগ ও নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়াবে।
কম্পিউটার সম্পর্কিত বেসিক কাজ শিখুন: মাইক্রোসফট ওয়ার্ড,এক্সেল,পাওয়ার পয়েন্ট, টাইপিং ইত্যাদি বেসিক কাজগুলো শিখে রাখুন। সুযোগ থাকলে বিভিন্ন সহজ সফটওয়্যারের টুকটাক কাজ শিখে রাখতে পারেন; যা ভবিষ্যতে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
নিজের পছন্দের কাজ যেমন আবৃত্তি, লেখালেখি, উপস্থাপনা ইত্যাদি চর্চা করতে পারেন।
আপনি অনার্স থেকে সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিলে আপনার পরবর্তীতে নতুন করে শিখতে গিয়ে সময় অপচয় হবে না এবং বিসিএস প্রস্তুতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
বিসিএসই যেন একমাত্র লক্ষ্য না হয়
বিসিএসকে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বানানো মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
কেন নয়?
প্রতি বিসিএসে লক্ষ লক্ষ প্রার্থী পরীক্ষা দিলেও বিসিএস ক্যাডার হতে পারেন ১ শতাংশেরও কম।
যদি বিসিএসে সফল না হন তাহলে বিকল্প ক্যারিয়ার পথের জন্য প্রস্তুত থাকুন।
বিকল্প পরিকল্পনা:
বিসিএসের পাশাপাশি ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিন।
নিজের আইটি স্কিল ডেভেলপ করুন, এতে আপনি ঘরে বসেও কাজ করার সুযোগ পাবেন।
বেসরকারি সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করুন।
উদ্যোক্তা হয়ে নিজেই নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
সবকিছুর ভারসাম্য রাখুন
জীবন একটাই তাই একাডেমিক পড়াশোনা, চাকরির প্রস্তুতি, পরিবার, বন্ধু, শখ এবং মানসিক স্বাস্থ্য এ সবকিছুর মাঝে ভারসাম্য রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সময় সবার জন্য সীমিত কিন্তু যারা নিজের সময় ও কাজ সঠিকভাবে ব্যালেন্স করতে পারে তারাই প্রকৃতপক্ষে সফলতা অর্জনে সক্ষম হন।
কেন ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ?
দীর্ঘমেয়াদি উন্নতি: একাডেমিক ও চাকরির প্রস্তুতিতে ফোকাস করা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তা যদি মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তাহলে এর প্রভাব পড়বে জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে।
প্রোডাক্টিভিটি বাড়ে: কাজ ও বিশ্রামের মধ্যে ভারসাম্য থাকলে আপনি আরও ফোকাসড ও প্রোডাক্টিভ হবেন।
জীবনের আনন্দ: শুধুই কাজের মধ্যে ডুবে থাকলে জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলো হারিয়ে যাবে। ছোট ছোট আনন্দগুলো আমাদের উপভোগ করতে হবে যা মানসিক প্রশান্তি এনে দিবে।
সংক্ষেপে পরিকল্পনা
প্রথম বর্ষ: অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে বিসিএস প্রস্তুতি হিসেবে আপনি একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত ইংরেজি ও গণিত চর্চা শুরু করুন। অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে বিসিএস প্রস্তুতি
দ্বিতীয় বর্ষ: অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ হতে যোগাযোগ দক্ষতা ও তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান বাড়াতে থাকুন এবং টিউশনিতে যুক্ত হন।
তৃতীয় বর্ষ: অনার্স ৩য় বর্ষ থেকে বিসিএস প্রস্তুতি হিসেবে সিলেবাস বিশ্লেষণ করে বিসিএস প্রশ্নব্যাংক ও জব সল্যুশন পড়ুন এরপর বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি শুরু করুন।
চতুর্থ বর্ষ: শেষ বর্ষে বোর্ড বই থেকে বিসিএসের সিলেবাসভুক্ত অংশ এবং গাইড সমাধান করুন।
ঘরে বসেই বিসিএস প্রস্তুতি নিন!
অনেকে মনে করেন যে কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি সম্ভব নয়; এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কোচিং মূলত সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার একটি মাধ্যম। যদি আপনি চেষ্টাশীল হন তবে ঘরে বসেই নিজে নিজে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব।
অনার্সে পড়াশোনার চাপের মধ্যে কোচিংয়ে সময় ব্যয় না করে নিজের পরিকল্পনায় ঘরে বসে পড়লে সময় যেমন বাঁচে তেমনি মনোযোগও থাকে এক জায়গায়।
আর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য সঠিক গাইডলাইন ও সময় বাঁচাতে বেছে নিতে পারেন চাকরি প্রস্তুতির জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম বিদ্যাবাড়ির অনলাইন কোর্স 48th BCS Foundation To Advance Live Batch-5। এটি আপনার সফল প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্রষ্টার ওপর ভরসা, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক গাইডলাইন নিয়ে ধৈর্য ধরে সামনে এগিয়ে যাওয়া।
মনে রাখবেন, "অসম্ভব" বলে কিছু নেই। বিসিএস একটি চ্যালেঞ্জিং পরীক্ষা হলেও সঠিক গাইডলাইন, পরিকল্পনা ও পরিশ্রম দিয়ে তা সহজ করে তোলা সম্ভব।
বিসিএস প্রস্তুতি কেবল একটি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নয়; এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ।
অনার্স জীবন থেকে বিসিএস প্রস্তুতি এমনভাবে শুরু করুন যেন এটি শুধু চাকরির জন্য সীমাবদ্ধ না থাকে।
আপনার জ্ঞান, দক্ষতা এবং ব্যক্তিত্বের সার্বিক বিকাশের দিকে মনোযোগ দিন। সঠিক পরিকল্পনা ও অধ্যবসায় থাকলে কেবল বিসিএস নয়, জীবনের যেকোনো পরীক্ষায় সফল হওয়া সম্ভব।
Leave A Reply
Allready have an account ? Sign in to leave a reply
Comments