বিসিএস ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেক বড় পরিসরের। এখানে ভালো করতে পারলে ক্যাডার না পেলেও নন-ক্যাডার বিভিন্ন পদে সুপারিশ পাওয়ার সুযোগ থাকে।
কিন্তু যদি ভাইভায় ফেল করেন, তাহলে সব পরিশ্রম বৃথা হয়ে যাবে। তাই ভাইভার প্রস্তুতিটা নিতে হবে সঠিকভাবে, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী।
সহজভাবে বললে, বিসিএস ভাইভার প্রস্তুতি ৩টি ধাপে ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে-
১. ব্যক্তিগত তথ্য ও জেলার তথ্য ভালভাবে মনে রাখুন
বিসিএস ভাইভায় নিজের পরিচয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জেলার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন খুব সাধারণ ব্যাপার। তাই এসব বিষয়ে আগে থেকেই ভালো ধারণা রাখা দরকার।
কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
ব্যক্তিগত তথ্য:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান:
আপনার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল, বিখ্যাত প্রাক্তন শিক্ষার্থী বা শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানপ্রধানের নাম ইত্যাদি নোট করুন।
উদাহরণস্বরূপ, ৩৫তম বিসিএস ভাইভায় একজনকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যের নাম জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।
নিজ জেলা:
জেলার আয়তন, সীমানা, নামকরণের ইতিহাস, প্রতিষ্ঠা সাল, জনসংখ্যা, শিক্ষার হার, উপজাতি, উপজেলা সংখ্যা, বিখ্যাত ব্যক্তি, নদী, দর্শনীয় স্থান ইত্যাদি সম্পর্কে জানুন।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনা, সেক্টর কমান্ডার, ভাষাসৈনিকদের নাম এবং চিহ্নিত রাজাকারদের নামও জানা জরুরি।
জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, যেমন- জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও এবং চেয়ারম্যানদের নামও জেনে নিন।
অনার্স বিষয়:
আপনি অনার্স বা মাস্টার্সে যা পড়েছেন, তা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
সিলেবাস থেকে কোর্সগুলোর নাম, গুরুত্বপূর্ণ বেসিক বিষয়, এবং ওই বিষয়ের জনক সম্পর্কে জ্ঞান রাখুন।
অনেকে মনে করেন যে শুধুমাত্র জেনারেল ক্যাডার পছন্দ করলে অনার্স বিষয় থেকে প্রশ্ন হবে না। এই ধারণা একেবারেই ভুল।
জেনারেল ক্যাডার হলেও আপনার বিষয় থেকে প্রশ্ন হতে পারে কারণ উচ্চশিক্ষায় যা পড়েছেন সেটাই আপনার দক্ষতা যাচাইয়ের উপায়।
২. পছন্দের ক্যাডারসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা
বিসিএস ভাইভায় আপনার পছন্দের ক্যাডার নিয়ে প্রশ্ন আসা খুবই স্বাভাবিক। বিশেষ করে প্রথম বা দ্বিতীয় পছন্দের ক্যাডার নিয়ে। তাই এসব বিষয়ে আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
ক্যাডার-সংশ্লিষ্ট বই ও গাইড:
বাজারে প্রফেসরস, অ্যাসুরেন্স, ওরাকল বা অন্যান্য প্রকাশনীর বই পাওয়া যায়। আপনার পছন্দের ক্যাডার যেমন- প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্র ইত্যাদি নিয়ে এসব বই থেকে বিস্তারিত পড়ুন।
আগের প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আগের ভাইভার প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করুন। এগুলো বিশ্লেষণ করে দেখুন কোন ধরনের প্রশ্ন বেশি করা হয়। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজ, যেমন BCS: Our Goal, BCS Viva Campaigner বা Zakir’s BCS Special থেকে এই প্রশ্নগুলো পেতে পারেন।
ক্যাডারের কাঠামো ও কার্যক্রম:
পছন্দের ক্যাডারের পদসোপান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সচিব, মহাপরিচালক এবং বিখ্যাত কর্মকর্তাদের সম্পর্কে জানুন। এছাড়াও ক্যাডারের ট্রেনিং একাডেমি, বিভিন্ন পদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা এবং ক্যাডারের সঙ্গে আপনার শিক্ষার বিষয়বস্তু কিভাবে মিলে যায় তা ভালোভাবে বুঝে রাখুন।
ক্যাডারভিত্তিক প্রস্তুতি:
আপনার পছন্দ প্রশাসন ক্যাডার হলে:
প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে প্রশ্ন প্রায়ই গভীর হয় তাই দায়িত্ব ও কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখা জরুরি।
পদমর্যাদা ও দায়িত্ব: সহকারী কমিশনার, ইউএনও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখুন।
আইন ও প্রক্রিয়া: নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে প্রয়োগকৃত আইন, দণ্ডবিধি এবং ফৌজদারি কার্যবিধির গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো ভালোভাবে জানুন।
কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসন: কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা কীভাবে আলাদা এবং কীভাবে পরস্পর সম্পর্কিত তা বুঝে নিন।
মন্ত্রণালয়ের গঠন: বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মন্ত্রিপরিষদসচিবের ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা রাখুন।
আপনার পছন্দ পুলিশ ক্যাডার হলে:
পুলিশ ক্যাডার নিয়ে প্রশ্নে সাধারণত দায়িত্ব, পদ এবং পুলিশের কাঠামো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পদ ও র্যাংক ব্যাজ: সহকারী পুলিশ সুপার থেকে ডিআইজি পর্যন্ত বিভিন্ন পদের দায়িত্ব এবং র্যাংক ব্যাজের অর্থ সম্পর্কে জানুন।
আইন ও বিধি: পুলিশ আইন ১৮৬১, পিআরবি (Police Regulations of Bengal), দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং দেওয়ানি কার্যবিধি নিয়ে ধারণা রাখুন।
মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা: মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক পুলিশের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানুন।
পদক ও ট্রেনিং: পুলিশের বিভিন্ন পদক যেমন- বাংলাদেশ পুলিশ পদক (BPM) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (PPM) সম্পর্কে জেনে নিন। এছাড়া সারদা পুলিশ একাডেমি এবং অন্যান্য ট্রেনিং একাডেমির গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করুন।
শাখা: পুলিশের বিভিন্ন শাখা যেমন- স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি এবং আরএবি সম্পর্কে ধারণা রাখুন।
আপনার পছন্দ স্বাস্থ্য বা শিক্ষা ক্যাডার হলে:
স্বাস্থ্য বা শিক্ষা ক্যাডারে পেশাগত দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রফেশনাল জ্ঞান: আপনার পঠিত বিষয় যেমন- মেডিকেল সায়েন্স বা শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে গভীর ধারণা রাখুন।
ক্যাডারসংশ্লিষ্ট তথ্য: এই ক্যাডারের দায়িত্ব, কাঠামো এবং সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানুন।
প্রত্যেক ক্যাডারের প্রশ্নে আপনার বিষয়ভিত্তিক এবং প্রাসঙ্গিক জ্ঞান দেখানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহ দুটোই স্পষ্ট হবে।
৩. অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানুন
সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ, জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধু, সাম্প্রতিক তথ্য, বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি-সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রিলিমিনারি ও রিটেন পরীক্ষার গাইড বই বা অন্য যেকোনো রেফারেন্স বই থেকে পড়ে নেবেন। এর জন্য-
সংবিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান: সংবিধান সম্পর্কে বিশ্লেষণাত্মক জ্ঞান থাকা ভাইভা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাদা রঙের সংবিধান বই, আরিফ খানের ব্যাখ্যামূলক বই এবং মো. আব্দুল হালিমের সংবিধান সম্পর্কিত বইগুলো পড়তে পারেন। এসব বই আপনাকে বিস্তারিত বিশ্লেষণাত্মক জ্ঞান দেবে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, স্বাধীনতার ঘোষণা, মুজিবনগর সরকার, অপারেশন জ্যাকপট, মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনা ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস সম্পর্কে জানুন। এ বিষয়ে বই যেমন অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের 'দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ' এবং এম আর আক্তার মুকুলের 'আমি বিজয় দেখেছি' থেকে পড়াশোনা করতে পারেন। আপনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধেও গিয়ে বাস্তব ধারণা নিতে পারেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমান:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবন ও সংগ্রামের ওপর বিশদ জানুন। তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানের বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে জানলে ভাইভাতে উপকার হবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস:
মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও বাংলা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো যেমন- মৌর্য, পাল, সেন, মুসলিম শাসন, ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের ইতিহাস এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ, যেমন পানিপথের যুদ্ধ, সিপাহি বিদ্রোহ, বঙ্গভঙ্গ, নীল বিদ্রোহ সম্পর্কে জানুন। এসব বিষয় ইতিহাসের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান সরকারের সংস্কার ও পরিবর্তন:
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সংস্কারের তথ্য জানাও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এজন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংবাদ এবং দৈনিক সংবাদপত্রগুলো নিয়মিত পড়ুন যাতে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ এবং সংস্কারের বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে পারেন।
নারী উন্নয়ন সম্পর্কিত তথ্য:
নারী পরীক্ষার্থী হলে নারীর ক্ষমতায়ন, CEDAW সনদ, সংবিধানে নারী বিষয়ক অনুচ্ছেদ এবং সরকারের বিভিন্ন স্তরে নারীর উপস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক, প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক কাঠামো:
বাংলাদেশ এর ভৌগোলিক অবস্থান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ভূমিকা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী:
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং সাম্প্রতিক বিশ্ব ইস্যুগুলোর ওপরও দৃষ্টি রাখুন। যেমন- প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, কাশ্মীর সংকট, রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে জানুন।
এই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোমতো পড়াশোনা করে নিন কারণ এগুলো প্রায়ই বিসিএস ভাইভা পরীক্ষায় আসে।
ভাইভা পরীক্ষায় উত্তর না পারলে কী করবেন এবং কী করবেন না
ভাইভা পরীক্ষায় যদি আপনি কোনো প্রশ্নের উত্তর না জানেন, তাহলে ভণিতা না করে সোজাসুজি বলুন, "স্যরি স্যার, উত্তরটি আমার জানা নেই বা মনে করতে পারছি না।"
এটা সাধারণ ঘটনা যেমন- টানা ৪-৫টি প্রশ্নের উত্তর আপনি জানেন না। এতে ভয় পাবেন না বা ঘাবড়ে যাবেন না। বরং মাথা ঠাণ্ডা রাখুন এবং মনোযোগী হোন।
মনে রাখবেন, ভাইভা কেবল আপনার জ্ঞানের গভীরতা যাচাই করার পরীক্ষা নয়, বরং এটি দেখানোরও সুযোগ যে আপনি কীভাবে চাপের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন।
চলুন এক নজরে দেখে নিই, ভাইভা পরীক্ষায় আমাদের যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:
ভুল বা অনুমাননির্ভর তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন: কখনোই ভুল তথ্য বা অনুমান দিয়ে উত্তর দেবেন না। এটা আপনার credibility নষ্ট করতে পারে।
ইচ্ছাকৃত মিথ্যা বা ভুল কথা বলা থেকে দূরে থাকুন: মিথ্যা বলার চেষ্টা করবেন না, কারণ সেটা খুব সহজেই ধরা পড়ে এবং আপনার মান ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
অতিরিক্ত পাণ্ডিত্য জাহির করবেন না: কখনোই নিজের জ্ঞান নিয়ে অগত্যা অহংকার করবেন না। পরিপক্কতা ও সাচ্চতা বজায় রাখুন।
বোর্ড সদস্যদের সাথে তর্কে জড়াবেন না: প্রশ্নের উত্তর না জানলেও কখনোই বোর্ড সদস্যদের সাথে তর্ক করতে যাবেন না। এভাবে আপনার উত্তরের চেয়ে আচরণটাই বড় হয়ে উঠতে পারে।
অর্থবোধক সিদ্ধান্তহীনতা বা অতিরিক্ত সময় নষ্ট করবেন না: যখন কোনো প্রশ্নের উত্তর মনে করতে পারছেন না, তখন সিদ্ধান্তহীনতা দেখাবেন না। বেশি সময় নষ্টও করবেন না। সোজা বলুন, "মনে করতে পারছি না" এবং পরবর্তী প্রশ্নে মনোযোগ দিন।
রাজনৈতিক মন্তব্য বা দর্শন প্রকাশ করবেন না: ভাইভায় রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে আপনার অস্থিরতা প্রকাশ পেতে পারে।
অতি সৌজন্য বা অপ্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস দেখানো থেকে বিরত থাকুন: অত্যধিক সৌজন্যবোধ বা অহেতুক আত্মবিশ্বাস দেখানো, উভয়ই নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রশ্নের গভীরতা না বুঝে উত্তর দেবেন না: প্রশ্নটা ভালোভাবে বুঝে না দিলে উত্তর না দেওয়াই ভালো। দ্রুত উত্তর দিয়ে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
চতুরতা বা তাড়াহুড়ো করবেন না: উত্তরের ক্ষেত্রে কখনোই চতুরতা বা তাড়াহুড়া করবেন না। নিজের চিন্তাভাবনাকে সময় দিন।
আঞ্চলিকতা পরিহার করুন: আঞ্চলিক ভাষা বা শব্দচয়নে সতর্ক থাকুন। আপনার উত্তর যেন সবার কাছে স্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
এই সব বিষয়গুলো মনে রেখে আপনি ভাইভা পরীক্ষায় আরও আত্মবিশ্বাসী এবং সফল হতে পারবেন।
Comments